Thursday, September 24, 2015

আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আইনতঃ না পেলে আমরা তা ছিনিয়ে নেব

তাদের প্রথম পরিচয় - তারা মুসলমান৷ তাই প্রথমে কৌমের স্বার্থ দেখতে হবে৷ বস্তুত, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কৌমের স্বার্থই দেখতে হবে৷ মুসলমান পরিচয় বাদে আর যা যা পরিচয়, সবই সেই স্বার্থসিদ্ধির কথা মাথায় রেখে৷ লক্ষ এক - দারুল ইসলাম, তার জন্য প্রয়োজনে মুসলিম লীগকে অস্তিত্বহীন করে দিতে হবে, MIM কে গালি দিতে হবে এমনকি বিজেপির ঝান্ডা ধরতে হবে৷ যার রঙ যাই হোক না কেন, কৌমের উদ্দেশ্য ব্যহত হলে কিন্তু সব শিয়ালের এক রা!

গরু খাওয়া কি মুসলমানদের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে? নবী সাহেব কোনদিন গরু খেয়েছিলেন(যেহেতু মক্কা বা মদীনা যে অঞ্চলে অবস্থিত, সেখানে গরু সহজে পাওয়া যায় না)? কোরানে কোথাও লেখা আছে যে, কোরবানীতে গরুর পরিবর্তে খাসী কাটলে আল্লা যারপরনায় অসন্তুষ্ট হবেন? কিন্তু গরু কাটতেই হবে৷ কারণ, এদেশে কাফের হিন্দুরা গরুকে বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান করে থাকে৷ তাই গরু কাটতে হবে৷ প্রকাশ্যে কাটতে হবে৷ তারা জানে, আড়াই প্যাঁচ দিয়ে ফলে রাখলে বেচারা গরুগুলোর যত না কষ্ট হয়, তার চেয়ে বেশী যন্ত্রণা হবে কাফের হিন্দুগুলোর হৃদয়ে৷ ভারতে মুসলমানদের গরু কাটার বাধ্যবাধকতাটা এখানেই৷ ভাবটা এই - আমরা তোমাদের শ্রদ্ধার বিষয়গুলোতে আঘাত করতেই থাকবো, তোমরা কি ছিড়বে ছিড়ে নাও৷

আমাদের লড়াইটা গরুকে বাঁচানোর নয়, আমাদের আত্মসম্মান বাঁচানোর জন্য৷ একসাথে পাশাপাশি বসবাস করার সদিচ্ছা থাকলে একে অন্যের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হবে৷ একদিকে বারাবনীতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে কোরান ছিড়ে ফেললে তোমরা থানা ভাঙচুর করবে, অন্য দিকে জয়নগরের রাণাঘাটাতে মন্দিরের পাশে গরুর মাংসের স্টল লাগাবে - এ হতে পারে না৷ তাদের বিশ্বাসটা মূল্যবান, আর অন্যদের বিশ্বাসের কোন মর্যাদা নেই - এ কেমন কথা?

এই গা-জোয়ারি সভ্য সমাজে চলতে পারে না৷ এই সহজ সত্যটা বোঝার মানসিকতা না থাকলে ঘাড়ে হাত দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় আছে? এখন এই ঘাড়ে হাত দেওয়ার কাজটা হল রাষ্ট্রের৷ কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক কালচারে এটা অসম্ভব৷ কারণ, যারা দেশ চালায় তাদের হাত এই সমস্ত nuisance value র ঘাড়ের বদলে সব সময় মাথার উপরেই থাকে৷ তাই প্রথমে নেতা মন্ত্রীদের হুঁসিয়ারী দিতে হবে, কাজ না হলে ঘাড়ে হাত দেওয়ার কাজটা নিজেদের হাতে তুলে নিতে হবে৷ নীরবে সহ্য করে যাওয়ার অর্থ আত্মহত্যা করা৷ কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে৷ আর এই অধিকার আইনতঃ না পেলে আমরা তা ছিনিয়ে নেব৷

আমি জানি, আমার জেলে যাওয়ার সময় ক্রমশঃ এগিয়ে আসছে৷ কিন্তু এড়িয়ে গেলে ভারতের মাটিতে অসংখ্য কাশ্মীর সৃষ্টি হবে, আবার ভারত ভাগ হবে৷ তাই সমুদ্র মন্থন হোক৷ শেষে অমৃত উঠুক৷ সেই অমৃত পান করে বিশ্বসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে চিরকাল আসীন থাকুক ভারতবর্ষ৷ কিন্তু তার আগে যে হলাহল উঠবে, তা ধারণ করার জন্য যারা এগিয়ে আসবেন, আমিও তাদের একজন - এটাই আমার গর্ব৷

Wednesday, September 23, 2015

দাদা, কবে হিন্দুর সমস্যার সমাধান হবে?

একবার এক ভদ্রলোক সাতসকালে পুকুরের পাড়ে দাড়িয়ে দাঁতন করছিলেন৷ সেই সময় পুকুরের পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে অন্য এক ব্যক্তি যাচ্ছিলেন৷ দ্বিতীয় ব্যক্তিটি প্রথম ব্যক্তিকে দেখে দাঁড়ালেন৷

জিজ্ঞাসা করলেন,'দাদা, সমীর বাবুর বাড়ি যেতে কত সময় লাগবে বলতে পারেন?'

প্রথম ব্যক্তি কোন উত্তর না দিয়ে আপন মনে দাঁতন করতে লাগলেন৷

দ্বিতীয় ব্যক্তি আবার একই প্রশ্ন করলেন কিন্তু প্রথম ব্যক্তিটি যথারীতি কোন উত্তর দিলেন না!

বিরক্ত হয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তিটি সামনের দিকে হাটতে শুরু করলেন৷

হাটতে শুরু করার করার সাথে সাথে প্রথম ব্যক্তিটি ওই দ্বিতীয় ব্যক্তিকে ডেকে বললেন, '৫ মিনিট লাগবে দাদা৷'

দ্বিতীয় ব্যক্তি বললেন,'আপনি তো আজব মানুষ মশাই৷ যখন ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন কোন উত্তর দিলেন না৷ আর হাটা শুরু করতেই পিছন থেকে ডেকে বলছেন ৫ মিনিট!'

প্রথম ব্যক্তিটি তখন বললেন, 'যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তখন আপনি দাড়িয়ে ছিলেন, তাই তখন উত্তর দিলে বলতে হত যে আপনি কোনদিনই পৌঁছাতে পারবেন না৷ কারন স্থির বস্তুর কোথাও পৌঁছানের কোন প্রশ্নই নেই৷ কিন্তু হাটতে শুরু করার পরে আপনার হাটার গতি দেখে হিসাব করে বলতে পারলাম ৫ মিনিট লাগবে৷'

আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, 'দাদা, কবে হিন্দুর সমস্যার সমাধান হবে?

আমার উত্তর, 'আপনার সাহস, সক্রিয়তা এবং আকুতির মাত্রার উপরে সেটা নির্ভর করছে৷'

LIC in a new form

প্রায় ১৫বছর আগের কথা৷ আমি তখন আসামে৷ একজন আর্মি ইন্টালিজেন্স অফিসার মাঝে মাঝে দেখা করতে আসতেন৷ আলোচনা প্রসঙ্গে উনি একদিন বললেন, আসামে ISI তার নেটওয়ার্ক ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু হিন্দুদের উপরে সংগঠিতভাবে কোন আক্রমণ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তারা কঠোর নির্দেশ দিয়েছে তাদের এজেন্টদের৷ তাদের পরিকলপনা, আসাম দখল করতে আর ডাইরেক্ট অ্যাকশন করার দরকার নেই৷ সেখানে হিন্দুদের উপরে বড় ধরণের কোন আঘাত হলে সারা ভারতের হিন্দুরা সচেতন এবং সতর্ক হয়ে যাবে৷ এতে তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনা রূপায়নের কাজ কঠিন হয়ে যাবে৷ তাই আসাম দখল হবে, কিন্তু তার আঁচ বেশী লোকের গায়ে লাগবে না, কোন মিডিয়ায় প্রচার হবে না, লোকেরা গুরুত্ব দেবে না - সেই রকম একটা রণকৌশল তৈরী করে তার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে ISI৷

এই প্রোজেক্টের নাম দিয়েছে LIC! LOW INTENSITY CONFLICTS মানে ছোট ছোট সঙ্ঘর্ষ - ডাকাতি, রেপ, গণধোলাই, বাজার লুঠ ইত্যাদি৷ যেভাবেই হোক ঘটনাগুলোকে ছোট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, যার প্রভাব ছোট এলাকার মধ্যে প্রবল ভাবে পড়বে৷ এই সব ঘটনার খবর বেশী দূর পর্যন্ত পৌঁছাবে না৷ যদিও পৌঁছায়, হিন্দুরা সেগুলোকে Law & order problem বা আইন শৃঙ্খলার অবনতি বলে বিশেষ গুরুত্ব দেবে না৷ মোটকথা, বৃহত্তর বিপদের কথা কোনভাবেই আঁচ করবে না এবং কেউ বুঝানোর চেষ্টা করলে বিশ্বাসও করবে না৷ কিন্তু যারা ভুক্তভোগী, তাদেরকে এবং এলাকার বাকী হিন্দুদেরকে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে যে, এই ডাকাতি কিংবা রেপ হল ইসলামিক সন্ত্রাস৷ এখানেই এর শেষ নয়৷ এখানে থাকলে এধরণের ঘটনা বার বার ঘটবে৷ তাই মানে মানে এলাকা ছেড়ে পালাও৷ তোমার এই সম্পত্তি কিনে নেওয়ার লোক আছে, প্রয়োজনে বেশী দাম পাবে৷ সোজা কথায় পরিকলপনা হল আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গ্রামের দখল নেওয়া৷

প্রথমত, এই একই পরিকল্পনার ছাপ কি আমরা পশ্চিমবাংলার বুকে রূপায়িত হতে দেখতে পাচ্ছি? মল্লিকপুর, উস্তি, জুরানপুর, হাঁসখালি, পঞ্চগ্রাম, বিকি হাকোলা, চন্ডিপুর, নৈহাটি, গয়েশপুর, বাঁশবেড়িয়া, টিয়া, মিয়া - একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনা কিসের ইঙ্গিত বহন করছে? কামদুনী থেকে শুরু করে রূপনগর-তারানগর, নোরিট, নির্মাণ দত্তপাড়ার ধর্ষণের ঘটনা কি বিচ্ছিন্ন ঘটনারূপেই থেকে যায় নি? হিন্দু সংহতি না থাকলে তো বেশীরভাগ ঘটনার খবরই কেউ জানতে পারতো না!

দ্বিতীয়ত, এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করছে কারা? পাকিস্তান আর বাংলাদেশ লোক পাঠাচ্ছে? যাদেরকে পাঠাচ্ছে, তাদেরকে এলাকার পথঘাট চেনাচ্ছে কারা? ঘরভাড়া করে দিচ্ছে কারা? পুলিশ-গোয়েন্দাদের থেকে আড়াল করে রাখছে কারা? সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র মজুত করার জায়গা দিচ্ছে কারা? মল্লিকপুর থেকে মিয়া - হিন্দুদের উপরে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারা কি পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আমদানী হওয়া সন্ত্রাসবাদী? এই সমস্ত প্রশ্ন কিন্তু অনেকেই বিব্রত হবেন৷ কারণ শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দেওয়া আর তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না৷

এইভাবেই দুই ২৪ পরগণা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উঃ দিনাজপুর, বীরভূম - জেলাগুলিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ ওই জেলাগুলোতে প্রতিদিন হিন্দুরা সব ধরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ হিন্দুরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে৷ বাকী যে জায়গার মুসলমানরা সংখ্যায় এবং শক্তিতে critical mass এ পৌঁছাতে পারে নি, তারা হিন্দুদের সঙ্গে পীরিত করে চলছে৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঝান্ডা উড়িয়ে রেখেছে সযত্নে৷ তারা যে অপেক্ষা করছে ২৫% এর বেঞ্চমার্ক ছোঁয়ার জন্য, সেটা সেখানকার হিন্দুরা বুঝতে পারছে না৷ যখন বুঝবে তখন সময় পেরিয়ে যাবে৷

বন্ধু প্রত্যুষ আর আমি কুচবিহার স্টেশনের বাইরে খিচুড়ি খাচ্ছিলাম৷ গরম খিচুড়ি, খাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই৷ হঠাৎ দেখলাম প্রত্যুষ কিন্তু প্রায় শেষ করে ফেলেছে৷ ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলল,'আপনি খিচুড়ি খাওয়ার টেকনিক জানেন না৷ গরম খিচুড়ি সাইড থেকে খেতে খেতে মাঝখানে আসতে হয়৷' সত্যিই আমি জানতাম না, অনেকেই জানেন না৷ তবে মুসলমানরা যে গরম খিচুড়ি খাওয়ার টেকনিকটা ভালো জানে, তা পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে!