Monday, October 19, 2015

যুদ্ধ চলবে

হিন্দ মুসলমানের যুদ্ধ ভারতের মাটিতে সেই দিন থেকে শুরু হয়েছিল, যেদিন প্রথম মুসলমান ব্যক্তিটি দারুল ইসলামের স্বপ্ন নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল৷ আর এই যুদ্ধ ততদিন চলবে, যতদিন এই মাটিতে একজনও মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে যে ভারতবর্ষকে দারুল ইসলাম বানানোর স্বপ্ন দেখে৷ আর যুদ্ধ যখন হয়, তখন শুধু সৈনিকদেরই মৃত্যু হয় না৷ অনেক নির্দোষ সিভিলিয়ানেরও মৃত্যু ঘটে৷

এই যুদ্ধে শুধুমাত্র ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম কবুল করেন নি বলে যত হিন্দুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই সংখ্যার তুলনায় 'আকলাখ'দের সংখ্যাটা অতিমাত্রায় নগণ্য৷ সুদীর্ঘ মুসলিম শাসনকালের ইতিহাস বাদ দিয়ে শুধু যদি দেশভাগের সময়কার হিন্দু নির্যাতনের হিসাব করতে বসা হয়, তাহলে তার তুলনায় মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা কি ধর্তব্যের মধ্যে আসবে? আজকেও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে হিন্দুর উপরে যে পাশবিক অত্যাচার চলছে, সেই তুলনায় ভারতের সংখ্যালঘুদের প্রতি সাধারণ হিন্দুদের আচরণ কি রকম? তবুও এক আকলাখ নিয়ে চলছে প্রহসন৷

যারা ভাবেন সরকারের পলিসি এবং পুলিশ এদেশের মুসলমানদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন৷ হিন্দুর জন্মগত সহিষ্ণুতার সংস্কারই ভারতে মুসলমানদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি৷ না হলে ভারতকে মুসলিমবিহীন করে দিতে হিন্দুদের একদিন, হ্যাঁ মাত্র একটা দিন সময় যথেষ্ট৷ তাই ভারতের মুসলমাদের যে অংশ বার বার হিন্দুর সহনশীলতার পরীক্ষা নিচ্ছে, তাদের মনে শুভবুদ্ধির জাগরণ ঘটানোর দায়িত্ব মুসলিম সমাজের দায়িত্বশীল এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদেরকেই নিতে হবে ৷ এক শ্রেণির সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ এবং তাদের উচ্ছিষ্টে প্রতিপালিত বুদ্ধিজীবী সমাজ ভারতের মুসলিমদের প্রতিদিন বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে seperatist মুসলিম গোষ্ঠিগুলোকে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ মদত দিয়ে৷ এতে তাদের স্বার্থ সিদ্ধ হলেও মুসলমানদের বিপদ কিন্তু প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সারা পৃথিবী যেখানে মুসলিম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে, সেখানে ভারতে বইছে উল্টো স্রোত! কিন্তু সবার মনে রাখা উচিত যে এই স্রোতে সর্বসাধারণ হিন্দু সমাজ আর গা ভাসাতে প্রস্তুত নয়৷ ক্ষোভ বাড়ছে প্রচন্ড বেগে৷ একে সামাল দেওয়া যে মন্দাক্রান্তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, এটা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মুসলমানদের উপলব্ধি করা খুবই প্রয়োজন৷

সুতরাং এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব মুসলিম সমাজের৷ যদি এখনও seperatist demand এর সিলসিলা চলতে থাকে, চলতে থাকে দেশবিরোধী সন্ত্রাসবাদী জেহাদীদের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ মদতদান, তাহলে হিন্দু সমাজকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ যুদ্ধ চলবে৷ ততদিন চলবে, যতদিন এই মাটিতে একজনও মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে যে ভারতবর্ষকে দারুল ইসলাম বানানোর স্বপ্ন দেখে৷ যুদ্ধের নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই দুপক্ষের আরও অনেক নির্দোষ সিভিলিয়নের মৃত্যু হবে৷ তাই যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু নিয়ে মরা কান্না কাঁদা আর পুরস্কার ফেরত দেওয়ার সেন্টিমেন্টাল নাটকের কোন গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না৷

Sunday, October 18, 2015

ভারতের আইনও এই ভগবানের মত

দুই ভাই ছিল৷ বড় ভাই ধর্মভীরু, দেব-দ্বিজে চরম ভক্তি৷ এদিকে ছোট ভাই ততটাই নাস্তিক৷ একদিন ঘটনাচক্রে দুই ভাই বাড়ি থেকে অনেক দূরে এমন এক জায়গায় আটকে গেল, যেখান থেকে সেই রাতে বাড়ি ফেরার কোন ব্যবস্থা নেই৷ অগত্যা কি করা যায়! দুজনে মিলে রাত কাটানোর একটা আস্তানা খুঁজতে লাগলো৷ অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একটা মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেল, যেখানে সেই রাতটা কাটানো যায়৷ রাতে খাওয়া দাওয়ার পর দুই ভাই শুয়ে পড়লো৷ বড় ভাই ভক্তি ভরে দেবমূর্তিকে প্রণাম করে, ভগবানের পায়ের কাছে মাথা রেখে শু'লো৷ এদিকে নাস্তিক ছোট ভাই দাদাকে একটু চুলকে দেওয়ার জন্য একেবারে দেবমূর্তির গায়ে পা তুলে শু'লো৷ বড় ভাই অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে অবশেষে একরাশ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ঘুমিয়ে পড়লো৷

মাঝরাতে হঠাৎ ভগবান বড় ভাইয়ের স্বপ্নে আবির্ভূত হলেন৷ বললেন, 'ভাইকে পা নামিয়ে শুতে বল্, না হলে বিপদ হয়ে যাবে কিন্তু!' বড় ভাই ধরমড় করে উঠে ছোট ভাইকে ঘুম থেকে তুলে স্বপ্নের কথা বলল৷ কিন্তু কে কার কথা শোনে! ছোট ভাই আরো জুতসই করে মূর্তির গায়ে পা রেখে ঘুমাতে লাগল৷ কিছুক্ষণ পরেই আবার সেই স্বপ্ন৷ এবার রীতিমত হুমকি! তাড়াতাড়ি জেগে উঠে ছোট ভাইয়ের ঘুম ভাঙাতেই বিরক্ত হয়ে সে বলল,' এবার ভগবান দেখা দিলে আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে বলবি৷ অন্যায় যদি হয়, সেটাতো আমি করছি! তোর ভগবান আমাকে না বলে তোর উপরে চোটপাট করছে কেন?'

এবার স্বপ্নে দেখা দিলে বড় ভাই ভগবানকে সেই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ভগবান অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন,' তুই আমাকে মানিস বলেই তো তোকে বলতে পারছি৷ ও তো আমাকে মানেই না! ওকে বললে ও কি মানবে আমার কথা? তাই ওকে বলে লাভ কি?'

ভারতের আইনও এই ভগবানের মত৷ যে মানে, তার উপরেই যত চোটপাট! যে মানে না, তাকে কিছু বলার হিম্মত নেই!

হিন্দুত্বকে আমি আমার জাতীয়তা বা Nationality বলে মনে করি

হিন্দুত্বকে আমি আমার জাতীয়তা বা Nationality বলে মনে করি৷ আমার মতে ভারতীয় ও হিন্দু শব্দ সমার্থক৷ কিন্তু ভারতীয় শব্দটার বদলে আমি হিন্দু শব্দটা এই কারণেই ব্যবহার করার পক্ষে যে, সেকু-মাকুরা ভারতীয় শব্দটার প্রকৃত অর্থটাকে কলুষিত করে দিয়েছে৷ আজ ভারতীয় বলতে কাগজে কলমে ভারতের নাগরিকদেরকে বোঝায়৷ পাকিস্তানের পতাকা তুললেও তারা ভারতীয়৷ বন্দেমাতরম বলতে অস্বীকার করলেও তারা ভারতীয়৷ জামাত, আইসিসের দালাল হলেও তারা ভারতীয়৷ আবার রাশিয়া-চিনের দালালি করলেও তারা ভারতীয়৷ মাদ্রাসায় তিরঙ্গা তুলতে রাজী না হলেও তারা ভারতীয়, আবার ঈদের দিন স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ঢেকে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তারা ভারতীয়৷ ভারতে থেকে, ভারতের খেয়ে ভারতের মূল স্রোত থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখলেও, ভরতের আইন মানতে অস্বীকার করলেও তারা ভারতীয়! তাই ভারতীয় শব্দটা আজ আর সঠিকভাবে ভারতীয় ভাবটার দ্যোতক হতে পারছে না৷ আর এই শব্দটাকে ব্যবহার করে দেশের শত্রুদেরকেও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, দেশপ্রেমী নাগরিকদেরকে বিভ্রান্ত করে ভারতের শত্রুদেরকে চিনতে দেওয়া হচ্ছে না৷

তাই হিন্দু শব্দটাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয়ত্বকে প্রতিফলিত করে বলে আমি মনে করি৷ এর সাথে উপাসনা পদ্ধতির কোন সম্পর্ক নাই৷ একজন আমেরিকার প্রকৃত নাগরিক যদি নিজেকে আমেরিকান বলতে গর্ব অনুভব করে, বৃটেনের একজন প্রকৃত নাগরিক যদি নিজেকে বৃটিশ বলতে গর্ব অনুভব করে, আমি হিন্দুস্থানের দেশভক্ত নাগরিক নিজেকে হিন্দু বলতে গর্বিত হব না কেন? সেকু-মাকুরা চাড্ডি বলবে বলে?

Follow, lead or quit

লক্ষ্য এক হলেও অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের কাজ আমাদের পছন্দ হয় না, অনেক বিষয়ে মতের মিল হয় না৷ সেক্ষেত্রে একসাথে কাজ করা অসুবিধাজনক হয়ে যায়৷ তার মানে এই নয় যে সবক্ষেত্রেই আমি ঠিক আর অন্যরা ভুল৷ অনেক সময় আদর্শের প্রতি দুপক্ষের commitment প্রশ্নাতীত হলেও মতের অমিল হতেই পারে৷ আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন এক পক্ষ অথবা উভয় পক্ষেরই ব্যক্তিগত কিছু mental bias থাকে, যেটাকে সে বা তারা অতিক্রম করতে পারে না৷ ধরা যাক, আমার নেতা খুবই পারদর্শিতার সাথে, আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন, কিন্তু তাঁর এক বা একাধিক ব্যক্তিগত পছন্দ, ঝোঁক আমার অপছন্দের তালিকায় আছে! হতে পারে তাঁর সেই ব্যক্তিগত ঝোঁকের কারণে কাজের ক্ষতি হচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে কি করণীয়? আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সহজ রাস্তা নিয়ে ফেলি - সমালোচনা করা, ক্ষোভ প্রকাশ করা ইত্যাদি৷ একটু ভেবে দেখুন, তিনি যদি পাক্কা রাষ্ট্রবাদী, হিন্দুত্ববাদী হন এবং সাহসের সাথে লড়াইয়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে যোগ্য হন, তাহলে তাঁর ব্যক্তিগত ত্রুটিকে হাইলাইট না করে সেটাকে কিভাবে ম্যানেজ করা যায়, সেকথা ভাবাটাই কি যুক্তিযুক্ত নয়? তাই প্রথম option হল নেতাকে অনুসরণ করুন এবং সমস্যাগুলোকে ম্যানেজ করুন৷ ধরা যাক নেতার সেই ত্রুটিগুলোর কুপ্রভাবে কাজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে৷ সংশোধন অসম্ভব৷ সেক্ষেত্রে নিজেকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে যেতে হবে৷ তবে সেই নেতৃত্ব নির্বাচন যেন natural selection হয়৷ নিজের যোগ্যতা, প্রতিভা এবং maturity দ্বারা বাকিদের আস্থা অর্জন করা মানেই নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়া৷ তার জন্য গ্রুপবাজী করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না৷ অর্থাৎ দ্বিতীয় option হল নিজে লীড করুন৷ আর দুটো option ই যদি বিফল হয়, তাহলে সরে যান৷ just quit ৷ নিজের সমমনস্ক ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে নতুন উদ্যমে আলাদা করে কাজ শুরু করুন৷ হিন্দুর এই লড়াইয়ে অনেক front ৷ যেকোন একটা ফ্রন্ট পছন্দ করে ময়দানে নেমে পড়ুন৷ এর জন্যও কারুর সাথে সম্পর্ক খারাপ করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না৷ ঝগড়াঝাটি করার সময়ও হাতে আছে বলে মনে হয় না!

আমাদের শক্তিটাকে সঠিক জায়গাতেই প্রয়োগ করতে হবে

একটা বাস্তব, তা যতই কঠোর হোক না কেন, আমাদের স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে বাঙালী হিন্দুরা, ব্যক্তিগত স্তরেই হোক অথবা সাংগঠনিক স্তরেই হোক, কোনদিনই এক ছাতার তলায় এসে লড়াই করতে পারে নি, পারবেও না৷ এক লক্ষ্যে চলার ক্ষেত্রে ভিন্ন মত ও ভিন্ন পথের উদ্ভব অতীতে বার বার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতে থাকবে৷ একে স্বীকার করে নিয়েই পথ বার করতে হবে৷ সংগঠনের নেতৃত্বের মানসিকতাই যেহেতু সংগঠনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বা policy making এর ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়, তাই ব্যক্তির মানসিকতাটাই আসল৷ চিন্তা ভাবনার বৈচিত্র্যকে প্রগতির লক্ষণ বলেই আমি মনে করি৷ কিন্তু পারস্পরিক সম্মান এবং সমন্বয় থাকা দরকার৷ কারো exposure বেশি হবে, কেউ থাকবে আড়ালে৷ এটা ব্যক্তির স্বভাব, তার প্রতিভা, তার যোগ্যতা, তার বেছে নেওয়া পথ বা তার উপরে ন্যস্ত কাজের প্রকৃতির উপরে নির্ভর করবে৷ যার exposure বেশি, তার নাম যশ হবে, যে আড়ালে থাকবে তাকে বা তার অবদানের কথা কেউ জানতে পারবে না৷ কিন্তু পারস্পরিক সম্মান এবং সমন্বয়ের জায়গাটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখাটা প্রত্যেকের কর্তব্য বলে আমি মনে করি৷

আমরা সচরাচর দেখে থাকি, যে ব্যক্তি বা সংগঠনের exposure বেশি, সে ধরা কে সড়া জ্ঞান করতে শুরু করে৷ পাশাপাশি যারা আড়ালে থাকে তাদের মধ্যে ক্ষোভ, ঈর্ষা দানা বাঁধতে শুরু করে৷ এটা প্রকৃতিগত আর প্রকৃতিকে অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে নিজের সমস্ত শক্তি ব্যয় করার পিছনে কোন যুক্তি আছে বলে আমি মনে করি না৷ কারণ আমাদের শক্তিটাকে সঠিক জায়গাতেই প্রয়োগ করতে হবে৷ এটাই Thumb rule৷ কিন্তু মানুষের এই ভাবাবেগগুলো প্রাকৃতিক আর প্রকৃতির বেগগুলোকে চেপে রাখলে নিজের এবং বাকীদের জন্যও তা অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে! শরীর সম্বন্ধীয় বেগগুলোকে পশুদের মত মানুষও সহজেই বুঝতে পারে৷ কিন্তু নিজের চিন্তা ভাবনার গতি প্রকৃতি যারা যত বেশী বুঝতে পারে, তারা তত বেশি পরিণত মস্তিষ্ক বলে আমি মনে করি৷ শারীরিক বেগ উপস্থিত হলে আমরা পশুদের মতই তা থেকে নিবৃত্ত হই৷ কিন্তু তার জন্য কোন সময় বাথরুমে যাই, কোন সময় বেডরুমে যাই৷ পশুদের মত public place এ সেগুলি সম্পন্ন করি না৷ একেই সংস্কৃতি বলা হয়৷ তাই সংস্কৃতিবান ব্যক্তি মানসিক বেগ উপস্থিত হলে সব দিক বিবেচনা করে, প্রতিক্রিয়া করবেন এটাই অপেক্ষিত৷ মোটের উপর, মানসিক বেগ উপস্থিত হলে তাকে চিনতে পারা, সেই উদ্ভুত চিন্তার পিছনে logic এবং honesty আছে, না কি শুধুমাত্র ego আছে - তা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করা এবং স্থান, কাল, পাত্র দেখে প্রতিক্রিয়া করা - এই তিনটি বিষয়ে আমাদের যত্নবান হতে হবে৷

সিদ্ধান্ত নিলাম কম্যুনালদের মত কথা আর বলবই না

না আর কম্যুনালদের মত কথা বলবো না৷ মুক্তমনারাই ঠিক৷ লিবারাল ভাবনার থেকে উচ্চ আদর্শ আর নাই৷ তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কম্যুনালদের মত কথা আর বলবই না৷

দাঙ্গাবাজ মোদী সরকারের কাছে একজন সদ্য লিবারাল হিসেবে একটা সেকুলার দাবী রাখতেই এই পোস্ট৷ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প দিক্ বিদিক ছেয়ে ফেলেছে৷ তাই মোদী সাহেবের কাছে নিবেদন, সমস্ত সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সমূলে বিনষ্ট করুন৷ না, শুধু গোল গোল কথা বলেই নিজের দায়িত্ব শেষ করবো না৷ কিছু লিবারাল প্রস্তাবও আপনার সামনে রাখবো৷

১) ধর্মের উল্টোপাল্টা নির্দেশগুলোই সমস্ত গোলমালের মূল৷ তাই ভারতে যত ধর্মমত প্রচলিত আছে, সবগুলির গভীর অধ্যয়ন করা হোক৷ যে যে ধর্মমত অন্য ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতি অসহিষ্ণু হতে শিক্ষা দেয়, অন্য ধর্মকে অপমান করার শিক্ষা দেয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়, অন্য ধর্মের প্রতি বিশ্বাসকে এবং শ্রদ্ধাকে আঘাত করার নির্দেশ দেয় - সেই সেই ধর্মমতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক৷ কারণ, উদারতার পীঠস্থান এই ভারতের মাটিতে অসহিষ্ণুতার কোন স্থান নাই৷

২) ধর্মের ভিত্তিতে দেশের মানুষকে বিভক্ত করা বন্ধ করুন৷ তার জন্য ধর্মের ভিত্ততে সব রকম সংরক্ষণ বাতিল করুন৷ ধর্মের ভিত্তিতে সমস্ত সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করুন৷ 

৩) ধর্মীয় সংখ্যালঘু শব্দটাকে ব্যান্ করুন৷ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য যতগুলো সরকারী প্রকল্প আছে, সেগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হোক৷

৪) সংবিধান থেকে ৩০এ ধারাটি তুলে দিন৷ এই ধারার বলে শিক্ষার মত পবিত্র ক্ষেত্রকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করা হচ্ছে৷

৫) ধর্মের ভিত্তিতে দেশের নাগরিকদের জন্য আলাদা আইন বাতিল করে সবার জন্য সমান আইন বলবৎ করুন৷

যা ত্তেরী! লিবারাল হতে গিয়ে দেখছি ঘোর কম্যুনাল কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছি! না, আর কথা বাড়ালে কম্যুনালই থেকে যাবো৷ লিবারাল আর হওয়া যাবে না৷ তাই শেষ করছি৷ সেকুলার আর লিবারালরা ক্ষমা করবেন৷ কারণ আমি এখন কনফিউসড হয়ে পড়ছি - কম্যুনালরাই আসল লিবারাল, না কি লিবারালরাই আসল কম্যুনাল!

ইসলামের কোর্ হচ্ছে seperatism

গরু কে কেউ মা বললেও যেমন আমার আপত্তি নেই, আবার গরুকে কেউ নিছক খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করলেও আমার কোন আপত্তি নেই৷ কারণ শ্রদ্ধা মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে তৈরী হয়৷ এই বিশ্বাস কতটা যুক্তিপূর্ণ সেটা সেই বিশ্বাসী ব্যক্তির মানসিক গঠন, তার শিক্ষা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির গতি প্রকৃতির বিষয়ে তার knowledge এবং observation ইত্যাদির উপরে নির্ভর করে৷ কিন্তু যতই অযৌক্তিক মনে হোক না কেন, যে কোন কিছু বিশ্বাস করার পূর্ণ স্বাধীনতা মানুষের আছে যতক্ষণ না তার সেই বিশ্বাস অন্যের স্বাধীনতাকে খর্ব করছে, তার বিশ্বাস সমাজ এবং প্রাকৃতির ভারসাম্যকে নষ্ট করছে৷ দেশ, জাতি তথা বিশ্বমানবতার স্বার্থের পরিপন্থী না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তির বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা করার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই৷ তবে মানুষের বিশ্বাস নিশ্চই যুক্তি নির্ভর হওয়া উচিত৷ পাশাপাশি সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও কিছু কিছু বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা মানুষের মনে পরম্পরাগতভাবে তৈরী হয়ে থাকে, হয়তো তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ভবিষ্যতের গর্ভে লুকিয়ে আছে৷

আমি সুনামীর পরে লিটল আন্দামানে গিয়েছিলাম৷ সেখানে স্থানীয় বাসীন্দাদের মধ্যে একজন তার অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে বললেন, কয়েক পুরুষ ধরে সেখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস, সমুদ্র যখন দূরে সরে যায় তখন মানুষেরও উচিত সমুদ্র থেকে দূরে সরে যাওয়া৷ সুনামীর ঢেউ যখন আছড়ে পড়ল, ঠিক তার আগে সমুদ্রের জল অনেক দূরে পিছিয়ে গিয়েছিল৷ বিশ্বাসের ভিত্তিতে যারা তা দেখে তখন সমুদ্র থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন, তারা বেঁচে গিয়েছিলেন৷ আর যারা এই বিশ্বাসকে কুসংস্কার মনে করে তাচ্ছিল্য করেছিলেন, তারা আজ আর বেঁচে নেই! অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না জানলেও অভিজ্ঞতা ও observation এর ভিত্তিতে যে বিশ্বাস তৈরী হয়, তা নিশ্চই উপহাসের বিষয় হতে পারে না৷ গরুকে মা বলতে অস্বীকার করার অধিকার আমার আছে৷ কিন্তু কেউ যদি গরুকে মা বলে বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে - তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করাটাকে আমি কোনভাবেই যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে করি না৷ এটাও এক ধরণের সঙ্কীর্ণ মানসিকতার লক্ষণ৷

দ্বিতীয় বিষয় খাদ্যাভ্যাস৷ মানুষের খাদ্যাভ্যাস তৈরী হয় মূলতঃ খাদ্যের খাদ্যগুণ এবং তার availability র উপরে ভিত্তি করে৷ মানুষ সব সময় সস্তায় পুষ্টিকর খাবার খোঁজে৷ যে খাবার যত বেশী available, তার দাম তত কম৷ আমরা ছোটবেলায় পাঁঠার মাংসই বেশী খেতাম৷ ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকল, দেশী মুরগী সেই জায়গা দখল করতে লাগলো৷ প্রথম প্রথম মুরগী সাধারণ হিন্দু পরিবারগুলোতে গ্রহণযোগ্য ছিল না৷ অনেক বাড়ীতে আলাদা বাসন ছিল মুরগী রান্না করার জন্য! পুরোনো লোকেরা বলতেন - মুরগী ম্লেচ্ছদের খাবার! এখনকার প্রজন্ম ভাবতে পারে এসব কথা? পরে পোল্ট্রি চলে এলো৷ ইদানীং শুকরের মাংসও ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে৷ আমার বলার বিষয় হচ্ছে খাদ্য নির্বাচনের এই বিবর্তন একটা natural process ৷ এ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, আজ কেউ কি বলতে পারে?

এখন এই খাদ্য নির্বাচনের সময় আরও কিছু বিষয় বিচার্য থেকে যায়৷ সেগুলো হল বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য ঠিক থাকছে কি না, আমরা খেয়ে খেয়েই অনেক প্রজাতির পশুকে পৃথিবী থেকেই বিলোপ করে দিতে চলেছি কি না, কোন পশুর মাংস হিসাবে পেটে যাওয়ার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অন্য বিশেষ উপযোগিতা আছে কি না? ইত্যাদি বিচার করে পশুহত্যা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারের৷ কারণ সরকারের হাতে  উপরোক্ত বিচার্য বিষয়গুলোর সঠিক অধ্যয়ন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্য মেশিনারি আছে৷ আমাদের বাজারে আগে কচ্ছপের মাংস বিক্রি হত, আজকে তা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ৷ হরিণের মাংস, বুনো শুয়োরের মাংসের স্বাদ থেকে সরকার আমাদের বঞ্চিত করেছে৷ আমরা কিন্তু মেনে নিয়েছি৷

কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভারতে গোহত্যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট সহ একাধিক হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারী করা সত্ত্বেও তাকে সম্পূর্ণভাবে অমান্য করা হচ্ছে৷ কোনও ধর্মীয় ground এ এই নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে তা নয়৷ দুধ সরবরাহ এবং কৃষিকাজের ক্ষেত্রে আজও গরুর উপযোগিতা অনস্বীকার্য৷ তাই গরুকে সম্পদ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে গোসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ West Bengal Animal Slaughter Control Act, 1950 অনুসারে পশ্চিমবঙ্গেও প্রজননে, কৃষিকাজে সক্ষম ও ১৪ বছরের কম বয়সী গরুকে হত্যা করা নিষিদ্ধ৷ তা সত্ত্বেও বাস্তবে কি ঘটে চলেছে তা আমাদের কারো অজানা নয়৷ ধর্মের নাম দিয়ে আদালতের অবমাননা করা হচ্ছে বুক ঠুকে! ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে ভারতের শিশুদের গোদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে বিনা বাধায়!

কৃষিকাজে মুসলমানরা কি গরু ব্যবহার করে না? করে৷ মুসলমান শিশুরা কি গরুর দুধ খায় না? খায়৷ গোসম্পদ সংরক্ষণ হলে কি শুধু হিন্দুদেরই লাভ হবে? নিশ্চই না৷ তা সত্ত্বেও গরু কাটার প্রতি এত আগ্রহ কেন মুসলিম সমাজের? কারণ হিন্দুদের উপরে নিজেদের সুপ্রীমেসিকে প্রতিষ্ঠিত রাখা৷ শক-হূণেরা ভারতে এসে একদেহে লীন হয়ে যেতে পারলেও পাঠান-মোগলরা পারে নি৷ কোনদিন পারবেও না৷ কারণ ইসলামের কোর্ হচ্ছে seperatism! তারা পৃথিবীর কোন দেশে গিয়ে মূল সমাজের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে পারে নি৷ তাদের মুখে সর্বত্র একই দাবি - আলাদা স্টেটাস চাই৷ আলাদা আইন, আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা, আলাদা ভাষা, আলাদা পতাকা ......... আলাদা দেশ!

কেউ সাধারণভাবে গরু খেলে আমার কোন আপত্তি নেই৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক জনগোষ্ঠীর সাথে গভীর ভাবে মিশে দেখেছি তারা সবদিক দিয়ে হিন্দু হলেও গরু খায়৷ এতে তাদের হিন্দুত্ব বিন্দুমাত্র ফিকে হয়ে যায় বলে আমি মনে করি না৷ তারা এই দেশকে ভালোবাসে, দেশের অখন্ডতা রক্ষায় জীবন দেওয়াকে তারা ধর্ম মনে করে৷ তাই গরু খেলেও কিছু এসে যায় না৷ কিন্তু ভারতের বৃহত্তম হিন্দু সমাজের moral down করার উদ্দেশ্য নিয়ে, ভারতের সংবিধান ও আইনকে অপমানিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে, ভারতের বুকে বসে seperatism এর ভাবনাকে জাগিয়ে রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে গোহত্যা করার প্রবণতা মুসলমানদের ত্যাগ করা উচিত৷ 

পরিশেষে সেকু-মাকু ভাইদের কাছে বিনম্র নিবেদন, মুসলমানদের এই গোহত্যা করার আগ্রহের পিছনে motive টাকে অনুধাবন করুন৷ এদের সমর্থন করার অর্থ হচ্ছে ভারত ভাঙার চক্রান্তকে সমর্থন করা৷ এদের শক্তিবৃদ্ধি করার অর্থ হচ্ছে সেকুলারিজমকে হত্যা করা, লিবারালিজমকে ধ্বংস করা৷ রুশদী, তসলিমা, হুমায়ুন আজাদ থেকে শুরু করে সম্প্রতি নিহত মুক্তমনা ব্লগারদের পরিণতির কথা ভাবুন৷ যে কোন এলাকার সেকুলার, লিবারাল পরিবেশ সেখানকার মুসলিমদের শক্তির সাথে inversely proportional! মানলাম আপনারা শিক্ষিত, চাড্ডিরা অশিক্ষিত৷ কিন্তু মাঝনদীতে ঝড় উঠলে সেই অশিক্ষিত মাঝিই কিন্তু আপনাদের মত বিদ্যেবোঝাই বাবু মশাইদের পরিত্রাতা, সেই অশিক্ষিত চাড্ডিরা গদা হাতে না দাঁড়ালে মুক্তমনা ব্লগারদের মত আপনাদের জীবনটাও যে ষোল আনাই মিছে এটা ভুলবেন না৷

বর্তমান যুগের স্বঘোষিত লিবারালরা দেশের শত্রুদের মায়াবী সৈন্য

বর্তমান যুগের স্বঘোষিত লিবারালরা মারিচ-এর মত সোনার হরিণ সেজে মুক্তমনা হিন্দুদের বিভ্রান্ত করছে৷ ঘরে মুক্ত বাতাস আমদানী করতে হলে জানলা দরজা খুলে রাখাই যথেষ্ট, কিন্তু উদারতার নামে এরা ঘরের দেওয়ালগুলোকেই ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করে চলেছে৷ ভারতীয়ত্ব বা হিন্দুত্বের পিলার গুলোকে ইনট্যাক্ট রাখতে না পারলে ভারতের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷ এর উদাহরণ হল আফগানিস্তান থেকে শুরু করে বাংলাদেশ৷ ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যে দেশগুলোর জন্ম৷ হিন্দুর শক্তি যখন যেখানে কমজোর হয়েছে তখন সেই মাটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ এটা ঐতিহাসিক সত্য৷ দেশকে ভাঙার জন্য মোল্লারা করেছে ডাইরেক্ট অ্যাকশন৷ আর দেশের তথাকথিত লিবারালরা করে চলেছে ইনডাইরেক্ট অ্যাকশন! তারা ভারতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার জন্য মিছরির ছুরি চালিয়ে চলেছে৷ এরা দেশের শত্রুদের মায়াবী সৈন্য৷ হিন্দুর সহজাত উদার মানসিকতাকে এনক্যাশ করে হিন্দুকে মূর্খের স্বর্গে টেনে নিয়ে চলেছে এরা৷ এরা যে যুক্তির কথা বলে সেগুলো যুক্তি নয়, সেগুলোকে বলা হয় 'ফ্যালাসি'! এদের যুক্তির নমুনা হচ্ছে 'রবীন্দ্রনাথের দাড়ি আছে, আবার রামছাগলেরও দাড়ি আছে - তাই রবীন্দ্রনাথ রামছা....!!' এটা ওদের যুক্তিবোধের অভাব নয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ এই কাজ করে যাওয়ার বিনিময়ে কোন না কোন রূপে এরা ইনসেন্টিভ পাচ্ছে৷ দাদরি কান্ডের পরে সম্পূর্ণ organised way তে যেভাবে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার হিড়িক উঠেছে, তাতে এটা আজ স্পষ্ট৷ কলবর্গীর জন্য এদের গলা ফাটে কিন্তু তসলিমা, হুমায়ূন আজাদদের সময় এরা বাকরূদ্ধ! এরা গুজরাট ২০০২ দেখতে পায় কিন্তু গোধরা কান্ড দেখতে পায় না! এরা দাদরি কান্ডে ব্যথিত হয়, কিন্তু জুরানপুরের ঘটনায় এদের উদার মন কেঁদে ওঠে না৷ ভারতে তথাকথিত সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য এদের হৃদয় কাতর হলেও কাশ্মীরের হিন্দু বিতাড়ন, বাংলাদেশে হিন্দুর উপরে নির্যাতন এদের উদার মনকে স্পর্শ করে না৷ এই দ্বিচারিতা নিয়ে কেউ যদি নিজেকে উদার বা লিবারাল বলে দাবি করে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়া কি বাঙালী হিন্দুর যুক্তিবোধ এবং বুদ্ধিমত্তার উপরে প্রশ্নচিহ্ন লাগিয়ে দেয় না? এই লিবারালরা সেকু, মাকু ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনার আমার আশেপাশে৷ এদেরকে চিনে নিন৷ এরা বুদ্ধিহীন নয়৷ এরা ধূর্ত শিয়ালের মত ভারতের শত্রুদের উচ্ছিষ্টভোজী৷ এরা আপনার আমার মত চট্যোপাধ্যায়, বন্দ্যোপাধ্যায় উপাধি ধারণ করে আমাদের সমাজকে উঁইপোকার মত ভিতর থেকে খোকলা করে চলেছে৷ এদের মুখোশটা সবার সামনে খুলে দিয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না দিতে পারলে এই দেশটাকে বাঁচানো অসম্ভব৷

ধান্দাবাজদের অস্তিত্ব আগেও ছিল, আজও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে

একজন সেকু-মাকুর বাড়িতে ডাকাত পড়লে কি তিনি তাদেরকে প্রতিরোধ করবেন? প্রয়োজনে হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন? না কি লিবারাল হিসাবে তাদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবেন আর বিনা বাধায় বাড়ির মা-বোনদের অপমান করতে দেবেন? বাড়ির দরজায় তালা না লাগানো আদর্শ স্থিতি৷ কিন্তু যতদিন চোর ডাকাতের অস্তিত্ব আছে, বাড়িতে তালা লাগানোটাই বাস্তব বোধের পরিচায়ক৷ সেকু-মাকুরা ব্যক্তি জীবনে বাস্তবকে মেনে চলেন কিন্তু দেশ, সমাজ, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় বাস্তবকে অস্বীকার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ এই দ্বিচারিতার মাধ্যমে তারা কাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছেন? অবশ্য তাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই৷ কারণ ধান্দাবাজদের অস্তিত্ব আগেও ছিল, আজও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে৷ কিন্তু বাঙালী সমাজ তাদেরকে চিনতে এত দেরী করল কেন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন৷

It is time to do or die

জীবনে কোনদিন এত খিস্তি খাই নি৷ কেউ সামান্য কটু কথা বললে চোখে জল আসতো৷ আশ্চর্যের বিষয় ফেসবুকের লেখাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গ্রুপে যতই খিস্তি খাচ্ছি, ততই উৎসাহ বাড়ছে! এতদিনে মনে হচ্ছে সেকু-মাকু নামধারী দেশের শত্রুদের পাকা ধানে মই পড়ে গেছে৷ ওদের জামা কাপড় খুলে যাচ্ছে একটা একটা করে৷ উলঙ্গ হতে আর বেশী সময় লাগবে না৷ গায়ে এতটাই জ্বালা ধরে যাচ্ছে যে যুক্তির ধারে কাছে না গিয়ে গলাগালি দিয়ে চুপ করিয়ে দিতে চাইছে তথাকথিত যুক্তিবাদী, শিক্ষিত, উদারতাবাদীরা৷

মিত্রোঁ সর্বহারার গান গেয়ে প্রচুর কামিয়েছো৷ এখন মা-মাটি-মানুষের গান গেয়ে কামাচ্ছো! কিন্তু মনে রেখো, সময় এসেছে তোমাদের প্রকৃত সর্বহারা হয়ে যাওয়ার৷ অন্তর্বাসটাও শরীরে রাখতে দেব না - কথা দিলাম৷ অবশ্য ঠেলায় পড়লে চাড্ডি পরিধান করে নিতে তোমরা এক মুহূর্তও দেরী করবে না সেটা আমি ভালো করেই জানি৷ চাড্ডি পরে নিলেও অন্তর্বাস ছাড়াই সেটা পরতে হবে কিন্তু৷ কারণ তোমাদের 'অন্দর' টা সবার সামনে প্রকাশিত হওয়াটা খুবই দরকার৷ সেটা আমরা করছি, করবো৷

মাঝে মাঝে দেখছি পুলিশের ভয়ও দেখাচ্ছে তারা৷ ওরা সম্ভবত জানে না, আমরা জেলকে তীর্থক্ষেত্র মনে করি৷ আমরা activist ৷ ওদের মত ফেসবুকে বাঘ মারি না৷ আমরা জানি, একটা দেবতনু জেলে গেলে দশটা দেবতনু জন্ম নেবে৷ সারা জীবন জেলে থাকতেও আমার আপত্তি নেই৷ যুদ্ধ যখন শুরু হয়ে গেছে, তখন শত্রু যে অস্ত্র ব্যবহার করবে, নিশ্চিতভাবে আমি তার চেয়েও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবো না৷ শত্রু শালীনতা, ভদ্রতার সীমার মধ্যে থাকলে আমিও তা ই থাকবো৷ কিন্তু তারা সেই সীমা অতিক্রম করলে আমিও শালীনতা, ভদ্রতার ইমেজ ধুয়ে জল খাবো না৷ শত্রু যখন নির্লজ্জ, আমার সামনে আদর্শ তখন নগ্ন 'মা কালী'৷ এই নির্ণায়ক লড়াইয়ে যোদ্ধাদের মনে কোন দ্বিধা ও দ্বন্দ্বের স্থান থাকতেই পারে না৷ It is time to do or die.