Sunday, October 18, 2015

বর্তমান যুগের স্বঘোষিত লিবারালরা দেশের শত্রুদের মায়াবী সৈন্য

বর্তমান যুগের স্বঘোষিত লিবারালরা মারিচ-এর মত সোনার হরিণ সেজে মুক্তমনা হিন্দুদের বিভ্রান্ত করছে৷ ঘরে মুক্ত বাতাস আমদানী করতে হলে জানলা দরজা খুলে রাখাই যথেষ্ট, কিন্তু উদারতার নামে এরা ঘরের দেওয়ালগুলোকেই ভেঙে ফেলার চক্রান্ত করে চলেছে৷ ভারতীয়ত্ব বা হিন্দুত্বের পিলার গুলোকে ইনট্যাক্ট রাখতে না পারলে ভারতের অস্তিত্বই বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷ এর উদাহরণ হল আফগানিস্তান থেকে শুরু করে বাংলাদেশ৷ ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যে দেশগুলোর জন্ম৷ হিন্দুর শক্তি যখন যেখানে কমজোর হয়েছে তখন সেই মাটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে৷ এটা ঐতিহাসিক সত্য৷ দেশকে ভাঙার জন্য মোল্লারা করেছে ডাইরেক্ট অ্যাকশন৷ আর দেশের তথাকথিত লিবারালরা করে চলেছে ইনডাইরেক্ট অ্যাকশন! তারা ভারতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করার জন্য মিছরির ছুরি চালিয়ে চলেছে৷ এরা দেশের শত্রুদের মায়াবী সৈন্য৷ হিন্দুর সহজাত উদার মানসিকতাকে এনক্যাশ করে হিন্দুকে মূর্খের স্বর্গে টেনে নিয়ে চলেছে এরা৷ এরা যে যুক্তির কথা বলে সেগুলো যুক্তি নয়, সেগুলোকে বলা হয় 'ফ্যালাসি'! এদের যুক্তির নমুনা হচ্ছে 'রবীন্দ্রনাথের দাড়ি আছে, আবার রামছাগলেরও দাড়ি আছে - তাই রবীন্দ্রনাথ রামছা....!!' এটা ওদের যুক্তিবোধের অভাব নয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ এই কাজ করে যাওয়ার বিনিময়ে কোন না কোন রূপে এরা ইনসেন্টিভ পাচ্ছে৷ দাদরি কান্ডের পরে সম্পূর্ণ organised way তে যেভাবে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার হিড়িক উঠেছে, তাতে এটা আজ স্পষ্ট৷ কলবর্গীর জন্য এদের গলা ফাটে কিন্তু তসলিমা, হুমায়ূন আজাদদের সময় এরা বাকরূদ্ধ! এরা গুজরাট ২০০২ দেখতে পায় কিন্তু গোধরা কান্ড দেখতে পায় না! এরা দাদরি কান্ডে ব্যথিত হয়, কিন্তু জুরানপুরের ঘটনায় এদের উদার মন কেঁদে ওঠে না৷ ভারতে তথাকথিত সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য এদের হৃদয় কাতর হলেও কাশ্মীরের হিন্দু বিতাড়ন, বাংলাদেশে হিন্দুর উপরে নির্যাতন এদের উদার মনকে স্পর্শ করে না৷ এই দ্বিচারিতা নিয়ে কেউ যদি নিজেকে উদার বা লিবারাল বলে দাবি করে, তাকে স্বীকৃতি দেওয়া কি বাঙালী হিন্দুর যুক্তিবোধ এবং বুদ্ধিমত্তার উপরে প্রশ্নচিহ্ন লাগিয়ে দেয় না? এই লিবারালরা সেকু, মাকু ইত্যাদি বিভিন্ন রূপে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনার আমার আশেপাশে৷ এদেরকে চিনে নিন৷ এরা বুদ্ধিহীন নয়৷ এরা ধূর্ত শিয়ালের মত ভারতের শত্রুদের উচ্ছিষ্টভোজী৷ এরা আপনার আমার মত চট্যোপাধ্যায়, বন্দ্যোপাধ্যায় উপাধি ধারণ করে আমাদের সমাজকে উঁইপোকার মত ভিতর থেকে খোকলা করে চলেছে৷ এদের মুখোশটা সবার সামনে খুলে দিয়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না দিতে পারলে এই দেশটাকে বাঁচানো অসম্ভব৷

No comments:

Post a Comment