Wednesday, March 4, 2015

দেশরক্ষায় চাই সবার অংশগ্রহণ

আগেই বলেছি যে ভারতবর্ষ বিশুদ্ধ হিন্দুরাষ্ট্র এবং একমাত্র হিন্দুরাই এদেশের রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় সমাজ। পাশাপাশি ভারতে বসবাসকারী অহিন্দুরা আইন অনুসারে এদেশের নাগরিক হলেও কখনোই রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় বলে বিবেচিত হতে পারে না। তাহলে বাস্তব এটাই যে ভারতের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ হিন্দু শতকরা ২০ ভাগ এমন একটি জনগোষ্ঠীর সাথে সহাবস্থান করছে যারা এদেশের রাষ্ট্রীয় নয়। বরং এই জনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবেDEbরাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত আছে এই কথা বললে অত্যুক্তি করা হবে না। ছলে বলে কৌশলে ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের সবাই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত – একথা বলা যায় না কিন্তু একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজ থেকে কোনো আওয়াজ উঠছে না। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মারমুখী হয়ে রাস্তায় নামতে অভ্যস্ত মুসলিম সমাজ এ বিষয়ে একদম নিশ্চুপ কেন – তা বুঝতে বেশি বুদ্ধির প্রয়োজন হয়না।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতেই এই দেশ ভাগ হয়ে ছিল। সেই সময় যারা পাকিস্তানের দাবিতে “ডাইরেক্ট অ্যাকশন” – এর নামে ভারতের মাটিকে রক্তে রাঙিয়ে দিয়েছিল, তাদের সিংহভাগ স্বপ্নের পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পরেও এই ‘না-পাক’ ভারতেই থেকে গিয়েছিল। তাহলে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত যারা ভারতের মাটিকে ‘না পাক’ মনে করত, ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ই আগস্ট থেকে কোন্ জাদুমন্ত্রে তারা এদেশের দেশভক্ত নাগরিক হয়ে গেল তা একমাত্র আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা এবং সেকুলারিজমের ধ্বজাধারীরাই বলতে পারবেন। অতএব বাস্তব এটাই যে দেশ ভাগ হলেও দেশভাগের বীজ কিন্তু এদেশের মাটিতেই থেকে গেল। সেই বীজ আজ মহীরূহে পরিণত হয়েছে।সেই বীজ হল ইসলামের সর্বোচ্চ আদর্শগুলির অন্যতম – ‘দারুল ইসলাম’।
ইসলামে এই মহান (?) আদর্শে বিশ্বাসীরা আজও এই দেশকে দারুল ইসলামে পরিণত করতে সদাসচেষ্ট। আর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তাদের প্রধান সহায়করা হলেন এদেশের ভোটভিক্ষু রাজনীতিবিদরা এবং সেকুলার বুদ্ধিজীবিরা।ভারতবর্ষকে দারুল ইসলামে পরিণত করতে যে কর্মসূচীর বাস্তবায়ন এখানে প্রতিনিয়ত চলছে, সেগুলিকে ভালোভাবে না জানলে এবং না বুঝলে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করা যাবে না। তাই এই গভীর ষড়যন্ত্রের প্রধান কয়েকটি সূত্র আমি এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
অস্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি : ভারতের সংবিধানের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আইনসম্মত উপায়ে ভারতকে দখল করার এ এক অমোঘ অস্ত্র। আমরা জানি যে কাশ্মীর আজ ভারতে থেকেও ভারতে নেই। কারন মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়াতে বাড়াতে অবশেষে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে কাশ্মীরকে হিন্দুবিহীন করে ফেলা হয়েছে।আজ ভারতরাষ্ট্রের শাসন সেখানে নখদন্তহীন শার্দুলের হম্বিতম্বিতে পরিণত হয়েছে। ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ – মাঝে মাঝে এই হুঙ্কার ছাড়া ভিন্ন কাশ্মীরের অন্য কোন বিষয়ে নাক গলানোর ক্ষমতা ভারতের শাসনকর্তাদের নেই। এই ‘কাশ্মীর মডেল’ সম্পূর্ণ ভারতব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হলে জনসংখ্যা বাড়াতে হবে, ভারতের জনচরিত্র (Demography) বদলে দিতে হবে। এই কাজে আইনগত কোন বাধা নেই। তাই এই কাজ চলছে বিনা বাধায়।
অনুপ্রবেশ : অরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে দলে দলে অবৈধভাবে বাংলাদেশী নাগরিকরা ঢুকে পড়ছে এদেশে। সঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশ থেকে তাড়া খাওয়া ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীরা। ভোটভিক্ষু, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বদান্যতায় এদেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হাসিল করে সহজেই তারা ছড়িয়ে পড়ছে দেশব্যাপী। দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই থেকে শুরু করে জয়পুর, বাঙ্গালোর পর্যন্ত ভারতের সমস্ত এলিট সিটি তে ছড়িয়ে আছে এদের অসংখ্য বস্তী। কোলকাতা এবং এর শহরতলীতেও গড়ে উঠছে প্রচুর অবৈধ বস্তী। এদের গায়ে হাত দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এদের তাড়ানোর কথা বললে রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষমতার শীর্ষস্থানীয়রাই যেখানে কোমরে দড়ি বেঁধে জেল খাটানোর হুমকি দেন, সেখানে কার ঘাড়ে ক’টা মাথা যে এদের গায়ে হাত দেয়?
ল্যান্ড জেহাদ : ছলে-বলে-কৌশলে হিন্দুর জমি দখল করা হচ্ছে সর্বত্র। সম্পূর্ণ হিন্দু এলাকায় বেশী টাকা দিয়ে হিন্দুর জমি কেনা হচ্ছে। তৈরী হচ্ছে মসজিদ। এলাকায় একজনও মুসলমান না থাকলেও নিয়ম করে বাইরে থেকে মুসলমানেরা আসছে সেখানে নামাজ পড়তে। এর পরেই এলাকার হিন্দুদের উপর অর্পিত হচ্ছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ – নামাজের সময় মন্দিরের মাইক বন্ধ রাখতে হবে, মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে পূজার শোভাযাত্রা করা যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ হিন্দুর ধর্মাচরণের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, হিন্দুনারী ধর্ষণ ও অপহরণ, তোলাবাজি, এমনকি খুন-জখম করে সন্ত্রস্ত হিন্দুদের বাধ্য করা হচ্ছে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে। রেল লাইন, ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে পড়ে থাকা সরকারী জমি দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ বস্তী। মোট কথা বিভিন্ন উপায়ে সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুর জমি হস্তগত করা হচ্ছে।
লাভ জেহাদ : বেছে বেছে হিন্দু মেয়েদের মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের হিন্দু সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার কাজ চলছে পরিকল্পনা মাফিক। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ে হওয়ার আগে হিন্দু মেয়েরা জানতেও পারছে না যে তার জীবনসাথী হিসাবে সে যাকে বেছে নিচ্ছে, সেই ব্যক্তিটি হিন্দু নয়। সুপরিকল্পিত ভাবে সমাজের প্রতিষ্ঠিত, সম্পন্ন হিন্দু পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিয়ের পর সেই ধর্মান্তরিত মেয়ের সন্তান জন্মানোর সাথে সাথে তার হিন্দু পিতার সম্পত্তি দাবী করা হচ্ছে দেশের আইনকে হাতিয়ার করে। এই লাভ জেহাদের ফলে একদিকে যেমন হিন্দুর সংখ্যা কমছে, অপরদিকে সেই হিন্দু মেয়ের গর্ভ থেকে একাধিক অহিন্দু জন্ম নিচ্ছে। সর্বোপরি আইনের বলে হিন্দু সম্পত্তি চলে যাচ্ছে অহিন্দুর দখলে।
এই ষড়যন্ত্রের জাল ছিড়তে হবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় সমাজ, হিন্দু সমাজকেই এই গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। এই কাজ শুধুমাত্র সমর্থন করে হাত পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে এই কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশরক্ষার এই মহান কর্মযজ্ঞে আজও যারা যোগদান করবেন না, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এই লড়াই নির্ণায়ক লড়াই। এই লড়াই জিততে হলে শত্রুর সাথে সাথে নিজ সমাজের বিশ্বাসঘাতকদেরও চিনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শপথ নিতে হবে – দেশের এক ইঞ্চি জমিও আমরা আর ছাড়ব না। মা-বোনের সম্মান নষ্ট হতে দেব না।

No comments:

Post a Comment